সম্পর্ক বাড়ান আকাশের তারাদের সাথে

আমরা কম-বেশী সবাই আকাশ দেখতে পছন্দ করি। পছন্দ করি রাতের আকাশের অজস্র উজ্জ্বল তারা দেখতে কিন্তু কখনও কি জানতে ইচ্ছে হয়েছে পৃথিবী থেকে প্রায় ১৩ আলোক বর্ষ দূরে থাকা তারার পরিচিত হতে। তারাদের নাম, পরিচয় সব কিছু জানতে? কখনও কি মন চেয়েছে আগের যুগের মানুষরা যেমন তারা দেখে পথ চলত, তেমনটা করে তারাকে চিনতে।

ইচ্ছে গুলি যদি  থাকে তাহলে, তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সেই শেখটা মেটানো মোটেও খুব কঠিন কিছু নয়। বরং আমারা চাইলেই হাতের মুঠোর মোবাইলটি দিয়েই ইন্টারনেটে শিখে নিতে পারি।

কিন্তু এতে নির্দিষ্ট একটি তারা দেখে তারাটার নাম জানা কি সম্ভব?

গুগোল এর আশীর্বাদে এটাও এখন সম্ভব নয়।  অ্যান্ড্রয়েড ফোনে  স্কাই ম্যাপ(Sky Map) অ্যাপ ডাউনলোড করে নিয়েই যে কোন তারার পরিচয় জানতে পারা যাবে। আর চাইলে তারার রাজ্যে ঘুরেও বেড়ান যাবে এই অ্যাপটি দিয়ে।

Dropbox-logoঅ্যাপটি এখান থেকে ফ্রি ডাউনলোড করুন।

Play.google-logoপ্লে-ষ্টোর ডাউনলোড লিংক

 

একবার এ্যাপটি ডাউনলোড করা হয়ে গেলে জিপিএস অন করে  অ্যাপটি চালু করুন। এই এ্যাপটি জিপিএস এবং কম্পাস সেন্সরের সাহায্যে খুব সহজেই বুঝতে পারে আপনার মোবাইল কোন দিকে তাক করা আছে, আর সেই দিকে থাকা সকল তারার খবর আপনাকে জানিয়ে দিবে মুহূর্তেই।
এই অ্যাপ দ্বারা নির্দিষ্ট তারা/গ্রহ খুঁজে বের করা যাবে। ধরুন অ্যাপটিতে (Mars) লিখে সার্চ দেয়া হলো।তখন মোবাইলের স্ক্রিনে একটি গোল লাল দাগ আসবে, এবং দেখাবে মোবাইলটি কোন দিকে ঘুরাতে হবে। সেই দিকে ঘুরাতে ঘুরাতে যখন  সঠিক দিকে পয়েন্ট করবে, তখনই সংকেত পাওয়া যাবে খোজা ঐ গ্রহ বা তারাটি কোন দিকে আছে।

তো আর দেরী ক্যানো আপনার অ্যান্ড্রয়েড ট্যাব বা মোবাইলটি বের করে এখুনি পরিচিত হওন হাজারো তারকা মণ্ডলী ও গ্রহদের সাথে।

মানুষ ছাড়াও পৃথিবীতে বুদ্ধিমান প্রাণী রয়েছে উল্লেখযোগ্য ৫টি

মানুষ এবং শিম্পাঞ্জির ডিএনএ(DNA) এর মধ্যে ৯৪ ভাগ মিল আছে। অবিশ্বাস্য হলেও বিজ্ঞান এ কথা প্রমাণ করেছে। যখনই কোনো প্রাণী মানুষের মতো আচরণ শিখে বা প্রদর্শন করে তখন আমরা আশ্চর্য হয়ে তা উপভোগ করি। সাধারণত এসব প্রাণীকেই আমরা স্মার্ট বলে থাকি।

।। অক্টোপাস ।।

মানুষ ব্যতিতো অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে অক্টোপাস সবচেয়ে বুদ্ধিমান এবং স্মার্ট। তারা ক্ষণস্থায়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী দু ধরনের স্মৃতি ধারণ করে রাখতে পারে। এমনকি তারা জলের ভেতর গোলকধাঁধা থেকেও বের হয়ে আসতে পারে একুইরিয়াম থেকে বের হওয়ার মতো করে।

অক্টোপাস অনেক সময় দুষ্টুমি করে জেলেদের নৌকা আটকে দেয়। এমনকি তারা কাঁকড়ার খোলস ছাড়িয়ে তাদের মাংস খেয়ে উদরপূর্তি করতে পারে। বিভিন্ন পাত্র/মগ এর ঢাকনা খোলার ব্যবস্থাও এই প্রাণীটির জানা আছে।

Octopash_01_rk

।। হাতি ।।

হাতি বুদ্ধিমান প্রানীদের মধ্যে অন্যতম। চার হাজার বছর আগে থেকে মানুষ হাতিকে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে এবং বিনদন থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনে হাতিকে ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে এদের দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিধারণ ক্ষমতা থাকার করণে।

elephant_02_rk

।। কাক ।।

পাখিদের মধ্যে বুদ্ধিমান পাখি হিসেবে কাকের খ্যাতির কথা সবার জনা। কাক চতুর প্রাণী শিম্পাঞ্জি ও গরিলার মতো নিজের সমস্যা নিজেই সমাধান করতে পারে। কাকের আইকিউ স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন মানুষ, বানর, বনমানুষ ইত্যাদির কাছাকাছি এবং তাদের আচরণের সাথেও বেশ মিল। এরা খাদ্য পাওয়ার জন্য বিভিন্ন উপাদান বা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারে।

ছোটবেলায় গল্পে পড়া কলস থেকে কাকের পানি খাওয়ার কথা সবার মনে আছে নিশ্চয়ই। কাকের সত্যি সত্যি এ রকম বুদ্ধি আছে। কাক ভবিষ্যৎ ঘটনা সম্পর্কে ধারণা করতে পারে, বিশেষ করে তাদের নিজের সমস্যা সমাধানের জন্য। স্মৃতিশক্তিও খুব ভালো। কাক যে কোনো চেহারা চিনে রাখতে পারে।

crow_03_rk

।। শূকরছানা ।।

কুকুর আর শূকরের ঝগড়ায় সবসময় যে শূকর পরাজিত বা হেনস্থা হয় তা আমাদের সবার  মনে আছে। কিন্তু এ দুই প্রাণীর মধ্যে শূকর বেশি স্মার্ট। কারণ এটি শব্দ এবং শব্দগুচ্ছ মনে রাখতে পারে। এমন কি এক বছর আগে শোনা শব্দও মনে রাখতে পারে অনায়াসে। শূকরছানাকে যখন তার মা শিক্ষা দেয় তখন তারা একজনের ভুল দেখে আরেকজন শিক্ষা নেয়।

আশ্চর্যের বিষয়, তিন বছরের শিশুর জন্য যে ভিডিও গেইম জটিল সে গেইম শূকরছানারা খেলতে পারে।

pig

।। শিম্পাঞ্জি ।।

 জিনরহস্য আবিষ্কারের আগে ধারণা করা হতো, প্রাণীসাম্রাজ্যে কেবল মানুষ খাবারের জন্য যন্ত্রপাতি ব্যাবহার করতে পারে। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, শিম্পাঞ্জি এ কাজটি বেশ ভালোভাবে পারে। তারা লাঠি দিয়ে গর্ত খুঁড়ে সুস্বাদু উইপোকা খোঁজে বের করতে পারে। পারে মাছ শিকার করতে। এছাড়া অন্যান্য শিকারেও তারা বেশ পারদর্শী।

শিম্পাঞ্জিরা একটি উচ্চমানের সমাজে বাস করে। তারা সুন্দর সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারে। একজন সঙ্গী মারা গেলে শোক এবং ভালোবাসা প্রকাশ করে। মানুষের মতো তারা ভাষা শিখতে না পারলেও সহজেই ভাবের আদান-প্রদান করতে পারে।

chimpanzee

সূত্রঃ  ‘রিডার্স ডাইজেস্ট’ ।

দাঁত সম্পর্কে ৬টি অজানা তথ্য

আমরা আসলেই দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝি না। এবং পরিশেষে দাঁতের কোনো সমস্যা হলে তখন তা নিয়ে বিপদে পড়ি। তাই প্রত্যেকরই দাঁত সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরী। জানা উচিৎ দাঁত সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্য। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক দাঁত সম্পর্কে এমনই কিছু অজানা তথ্য।boy cleans a teeth

তথ্য-১

দাঁত মাজতে আমরা নানা ধরণের টুথপেস্ট ব্যবহার করি। অনেক চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে বেঁছে নিই টুথপেস্ট। অনেকেই জেল টুথপেস্ট ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কিন্তু জেনে রাখুন, জেল টুথপেস্ট মুখের দুর্গন্ধ এবং মুখ অনেকক্ষণ ফ্রেশ রাখতে সক্ষম হলেও দাঁত পরিষ্কারে একেবারেই অক্ষম। তাই জেল টুথপেস্ট এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

তথ্য-২

অনেকেই সকাল বেলা খালি পেতে ১ গ্লাস লেবু পানি পান করে থাকেন। এতে ওজন অনেকটা কমে। কারণ লেবু পানি মেদ কমাতে সহায়ক। কিন্তু এই কাজটির কারণে দাঁতের কতোটা ক্ষতি হয় জানেন কি? সকালে লেবু পানি পান করা দাঁতের ওপরের এনামেলের জন্য অনেক ক্ষতিকর। লেবু পানির সাইট্রিক এসিড দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে ফেলে।

তথ্য-৩

স্বাদের কারণে আমরা কতো কিছুই তো খেয়ে থাকি এবং পান করে থাকি। মুখের স্বাদের দিকে নজর দিতে যেয়ে ভুলে যাই দাঁতের কথা। মনে রাখবেন, যে সকল খাবার কাপড়ে দাগ ফেলতে সক্ষম সে সকল খাবার দাঁতের ওপরের এনামেলের ক্ষতি করে দাঁতেও দাগ ফেলতে সক্ষম। অর্থাৎ, মশলা জাতীয় খাবার, চকলেট, চা/কফি, সফট ড্রিংকস জাতীয় সকল খাবারই দাঁতের জন্য ক্ষতিকর।

তথ্য-৪

আমরা অনেকেই দাঁত ব্রাশ করে ব্রাশটি খোলা ভাবে কোনো ব্রাশ স্ট্যান্ডে রেখে দিই। এবং ব্রাশগুলো হরহামেশা বাথরুমেই থাকে। কিন্তু এই কাজটি একেবারেই করা উচিৎ নয়। ব্রাশ খোলা ভাবে বাথরুমে রেখে দিলে এতে ব্যাকটেরিয়া জন্মায় যা পরবর্তীতে ব্রাশের সময় আমাদের মুখ ও পেটে চলে যায়। সুতরাং এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

তথ্য-৫

দুধ খেতে অনেকের ভালো না লাগলেও দাঁতের জন্য দুধ বেশ ভালো একটি খাবার। দুধের ক্যালসিয়াম দাঁতের গঠন মজবুত করে তোলে। গর্ভবতী মহিলারা নিয়মিত দুধ খেলে বাচ্চাদের দাঁতের গঠন মজবুত হয়।

তথ্য-৬

অপরিস্কার দাঁত সকলের কাছেই অস্বস্তিকর একটি ব্যাপার। কিন্তু আপনি জানেন কি অপরিস্কার দাঁত স্বাস্থ্যের জন্য কতোটা ক্ষতিকর? দাঁত অপরিস্কার থাকলে মুখে এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া জন্মায় তা হৃদপিণ্ডের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। সুতরাং দাঁত পরিস্কারের ব্যাপারে কোনো অবহেলা নয়।