টেকবিশ্বের স্রষ্টা কোম্পানিদের নামকরণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

Adobe(Adobe)অ্যাডোবি:
অ্যাডোবি মূলত সফটওয়্যার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। এর পরিবারের সদস্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফটোশপ,পিডিএফ রিডার,লাইটরোম,প্রিমিয়ার, আফ্টারইফেক্ট সহ আরও বেশ কিছু সফটওয়্যার।
Adobe এর প্রতিষ্ঠাতা John Warnock তার প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করেন “অ্যাডোবি ক্রীক” নদীর নাম অনুসারে। এই নদীটি তার বাড়ির পেছন দিক দিয়ে এখনও বয়ে চলেছে।

 

Apple-logo1(অ্যাপল)Apple:
সবচেয়ে মানসম্মত ইলেক্ট্রনিক পণ্য উৎপাদন করে বিশ্বে একটি সিম্বল হিসেবে দ্বারিয়েছে এই মাল্টিন্যাশনাল কম্পানী অ্যাপল। আইফোন, আইপ্যাড,আইপড, ম্যাকপিসি এই পরিবারের সদস্য। “অ্যাপল” বা আপেল ছিল প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস এর প্রিয় ফল। শুধুমাত্র এদিকে তার ব্যবসার জন্য ব্রান্ড নেম নির্বাচনের জন্য ভালো কোন নাম না পাওয়ায় প্রায় তিন মাস দেরি হয়ে যায় কোম্পানিটির পুরোপুরি কাজ শুরু করতে। শেষ পর্যন্ত তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, “অন্য সহকর্মীদের দ্বারা সেই দিনের মধ্যে একটি প্রযুক্তি নির্ভর ভালো-নাম প্রস্তাব না করা হলে “অ্যাপল কম্পিউটার” নামেই তার কোম্পানির নাম করণ করা হবে । কিন্তু বিভিন্ন কারণ বশত ভালো নাম দিতে সহকর্মীরা ব্যর্থ হওয়াই স্টিভ জবস শেষমেশ অ্যাপল কে তাদের কোম্পানির নাম হিসেবে নির্বাচন করেন।

 

yahoo(ইয়াহু!)Yahoo!
ইমেইল, সার্চইঞ্জন, ব্লগিং,বিজ্ঞাপন সহ আরও কিছু সেবা প্রদান করে আসছে এই প্রতিষ্ঠান টি। yahoo! শব্দটির আভিধানিক অর্থ দাঁড়ায় “নরপশু”। এই শব্দটি একজন ব্যাক্তির চেহারা ও তার কর্মে বীভৎস/বিরক্তিকর রূপকে তুলে ধরে। আর ইয়াহু জনক Jerry Yang & David Filo তাদের পছন্দের ব্রান্ড নেম হিসেবে এই নামটি বেছে নেয়। David Filo-র কলেজ বান্ধবী তাকে প্রায়ই ইয়াহু নামে সম্বোধন করত। পরে জানা যায় তাদের স্ল্যাং ভাষার প্রতি ভালো লাগার কারণে তারা এটিকে তাদের ব্রান্ড নেম হিসেবে নির্বাচন করেন।

 

sony(সনি)Sony:
সনি একটি জাপান ভিত্তিক কর্পোরেট গ্রুপ যা ইলেক্ট্রনিক্স থেকে শুরু করে গেম, বিনোদন এবং বিভিন্ন আর্থিক সেবা (যেমন বীমা ও ব্যাংকিং হিসাবে) খাতে নিজেকে নিযুক্ত রেখেছে। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা Akio Morita & Masaru Ibuka এই নামকরণ করেন ল্যাটিন শব্দ sonus যার অর্থ “শব্দ” এবং একটি স্ল্যাং ইংলিশ শব্দ sonny এর যৌথ শব্দের মাধ্যমে। তখন তারা নিজেদের বিবেচনা করত sonny boys হিসেবে যার অর্থ ছিল “উজ্জ্বল বালক”। কোম্পানিটির পূর্বের স্লোগান ছিল “like.no.other” আর বর্তমান স্লোগানটি হল “make.believe” ।

 

MS(মাইক্রোসফট )Microsoft:
একনামেই যার পরিচয়। কম্পিউটারে ব্যবহৃত জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ এই মাইক্রোসফট এর। উইন্ডোজ এর পাশাপাশি এম.এস ওয়ার্ড, ভিজুয়াল বেসিক, এ্যাক্সেজ, এক্সেল, পাওয়ার-পয়েন্ট সহ আরও বেশ কিছু জনপ্রিয় সফটওয়্যার আছে মাইক্রোসফটের । Microsoft নামটি আসে MICROsoft SOFTware এই দুটি শব্দ থেকে। বিল গেটস এই দুটি শব্দ থেকে প্রথম micro-soft নামে তার কোম্পানির নামকরণ করে। এরপর micro-soft থেকে হাইফেন(-) চিহ্ন উঠায়ে দিয়ে শুধু microsoft নামকরণ করেন তিনি। কারণ প্রতিষ্ঠানটির জনক বিল গেটস মূলত প্রথমদিকে মাইক্রো কম্পিউটার বা পার্সোনাল কম্পিউটারের জন্য তার অপারেটিং সফটওয়্যার ডস ও উইন্ডোজ তৈরি করেন।

 

 

intel-logo(ইন্টেল)Intel:
বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত মাইক্রোপ্রসেসর এর জনক। মূলত পার্সোনাল কম্পিউটারের প্রসেসর তৈরির মাধ্যমেই এর যাত্রা শুরু হয়। কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা Bob Noyce এবং Gordon Moore চেয়েছিলেন তাদের কোম্পানির নামকরণ হবে তাদের যৌথ নাম ব্যবহার করে। অর্থাৎ “Moore Noyce” নামে। কিন্তু চেইন হোটেল তাদের নামে আগেই এই নামটি ট্রেডমার্ক করে রাখে। তাই তারা INTegrated ELctronics এর সংক্ষিপ্ত নাম INTEL হিসেবে তাদের কোম্পানির নাম স্থাপন করেন। ইন্টেল পেন্টিয়াম প্রসেসর এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে সমাদৃত হয়।

 

Google(গুগোল)Google:
ইন্টারনেট ব্যবহার করেন অথচ গুগোল কে চেনেন না, এমন মানুষ হয়তো পৃথিবীতে খুব কমই আছে। হ্যাঁ সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চইন্জিন হলো গুগোল। এটির নামকরণ ছিল মূলত “Googol” যার সংখ্যা ১ থেকে শুরু এবং সাথে ছিল ১০০ টা শূন্য। এটি গুগলকে তার বিশাল পরিমাণ তথ্য প্রদান করার ক্ষমতা ফুটিয়ে তোলে। প্রতিষ্ঠা অর্জনের পর স্ট্যানফোর্ড স্নাতক ছাত্র সার্জি ব্রিন ও ল্যারি পেজ একটি দেবদূত বিনিয়োগকারীর কাছে তাদের প্রকল্প উপস্থাপন করেন। এরপর তাদের কোম্পানি নামকে পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেন তারা। পরে তারা একটি চেক হাতে পায় এবং তা থেকে তাদের কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে Google রাখা হয়।