জীবনে বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় বিষয় ত্যাগ করে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় বিষয়ের দিকে মনযোগ দেওয়া উচিত। যে ১০টি বিষয় ত্যাগ না করলে সুখী হওয়া কঠিন:
১. অন্য মানুষের কানকথা:
অন্যরা আপনার বিষয়ে যেসব বলেন বা ধারণা করেন সেসব নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই। তবে আপনার একমাত্র যে বিষয়টি দেখা উচিত তা হলো, আপনার নিজের মতামত।
২. আপনি শুধু একটি নাম:
আপনি কোনো একটি চাকরির উপাধি, কোনো পরিমাপ বা সম্পর্কের মাপকাঠির চেয়ে অনেক বেশি কিছু। আপনার নিজেকে অভিনন্দন জানানো উচিত। আপনার সব অসাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, অভ্যাস ও গুণাবলীর জন্য নিজেকেই অভিনন্দন জানান।
৩. নিজের ও অন্যের সম্পর্কে বাজে বকা:
আপনার ইতিবাচক বন্ধুরা যেভাবে দেখে, সেভাবেই নিজেকে দেখা শুরু করুন। ভাবতে শুরু করুন, আপনি যেমন আছেন- সেটাই সবচেয়ে ভালো।
৪. স্বপ্ন দেখা বাদ দেওয়া:
জীবন খুব ছোট। আপনার স্বপ্নগুলো এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বপ্নগুলোর পিছু ধাওয়া করুন আপনার হৃদয় থেকে। এতে আপনার ক্ষতি নয়, উপকার হবে।
৫. ফলাফলের চেয়ে উদ্দেশ্যকে বড় করে দেখা:
কোনো বিষয়ে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে কেন বা কিভাবে এটা হয়েছে তাতেই সব শক্তি নিয়োজিত করবেন না। তার বদলে এর মাধ্যমে আসা অর্জনকে বড় করে দেখুন। যখন আমরা কোনো ভালো কাজের জন্য প্রশংসা পাই তখন আমরা আরো ভালো কিছু করতে উৎসাহিত হই।
৬. কঠোর পরিশ্রম করা:
যখন আপনি কঠোর পরিশ্রম করেন, তখন আপনি সম্পূর্ণ বিষয়টিকেই অস্বীকার করেন। তার বদলে সিরিয়াসনেস কিছুটা কমানোই ভালো। এরপর হয়তো আপনার সৃজনশীলতা দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।
৭. অন্যের সঙ্গে আপনার তুলনা:
আপনি বিশ্বে একজনই আছেন। অন্য কেউ আপনার মতো নয়। আর তাই অন্যের সঙ্গে আপনার তুলনা করা বন্ধ করুন।
৮. অন্যের সাফল্যকে আপনার মাইলফলক হিসেবে নেওয়া:
অন্যের কোনো দিকে সাফল্য আপনার নিজের ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে নিয়ে তা অর্জন করার চেষ্টা করবেন না। কারণ এতে আপনি সীমিত হয়ে যাবেন। এর চেয়ে বড় বিষয়ের স্বপ্ন দেখুন।
৯. শরীরের প্রয়োজনকে দূরে ঠেলে দেওয়া:
খাওয়া, ঘুম, ওষুধ সেবন ইত্যাদি নানা প্রয়োজন থাকে শরীরের। আপনার শরীর সবসময় আপনাকে নানা চাহিদার কথা প্রকাশ করে। এসব চাহিদা সময়মতো পূরণ করা উচিত।
১০. বিবাদ:
আপনি যা পান, তাই গ্রহণ করার অভ্যাস করুন। অযথা অন্য সব বিষয় নিয়ে বিবাদ করা উচিত নয়।
সংগৃহীত
You must be logged in to post a comment.